সংবাদ শিরোনাম
আজব এক ব্যক্তি কাঁচা মাছ, মাংস ও লতাপাতা খেয়ে স্বাভাবিক চলে

আজব এক ব্যক্তি কাঁচা মাছ, মাংস ও লতাপাতা খেয়ে স্বাভাবিক চলে

জীবনে চলার পথে বহু রকম মানুষের সাথে মানুষকে মিশতে হয়, চলতে হয়। প্রতিটি মানুষই তার স্বভাব কিংবা চারিত্রিক দিকে সম্পূর্ণ আলাদা ও স্বকীয়। সকলের নিজস্ব চিন্তাধারা, বিশ্বাস, মতামতও বিভিন্ন রকম। কিন্তু, সকলের মাঝেই এমনকিছু বিশেষ স্বভাবের এক একটি মানুষকে লক্ষ্য করবেন, যাদের মূল লক্ষ্য এবং কাজ হলো সবসময়েই অন্যকে খুশি কিংবা অন্যের মতামত ও চিন্তাকে প্রাধান্য দেওয়া।
সুতরাং অন্যদেরকে খুশি করানো কিংবা অন্যের মতামতকেই প্রাধান্য দেওয়াটা হলো খুবই ভালো একটি চারিত্রিক গুণ। সকল মানুষই সুখ কিংবা আনন্দ কামনা করে সব সময়ে। আর আনন্দ বা সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিধানের জন্য তারাই সর্বদা সচেষ্ট থাকে। ব্যক্তিগত সুখলিপ্সা ও আনন্দ পূর্ণ করার জন্যে যেখানে সেখানেই খোঁজে বেড়ায়। সুতরাং যেমনি একজন ব্যক্তির দেখাও মিলেছে, অন্যকে সামান্য হলেও আনন্দ দান করেন। তবে- তাঁর সে আনন্দ প্রদানের যে মাধ্যম তা সরাসরি উপভোগ না করলে যেন একটু অবিশ্বাস হতে পারে। যাক- আসল কথায় আসি, তিনি মাছ, মাংস, লতাপাতা খেতে পারেন। তবে তাতো সকলেই খেতে পারেন এমন কথাই বলবেন। কিন্তু তিনি একেবারে সদ্য কাঁচা কাঁচা সব মাছ, মাংস এবং লতাপাতা খেতে পারেন।    

তিনি হলেন, রাজশাহী সদরের সবার সু-পরিচিত ব্যক্তি মুক্তা। তাঁর একটি দোকানও আছে বর্ণালী মোড়ে। এই ধরণের মানুষগুলো সবসময় চান বা চেষ্টা করেন যেন তার আশেপাশের সকলেই যেন সবসময় খুশি থাকে। তিনি বলেছেন, বিস্ময়বোধ কিংবা কৌতূহলবিহীন মন যেন- মানুষের নির্জীব মন, আসাঢ়-মৃতের মতোই নিস্পৃহ এবং নিস্পন্দ। মনের সজীবতা ছাড়া কোনোকিছু করাটাও যেন সম্ভব নয়। আর মনকে সজীব ও সতেজ রাখতে হলেই বিস্ময়বোধ বা কৌতূহলী আচরণের মানুষ থাকতে হবে।
এ সমাজে প্রায় সবাই প্রশংসা শুনতে ভালবাসে, সে ক্ষেত্রে তিনিও তার ব্যতিক্রম নন। তিনি- তার কর্মের পাশা পাশি সব সময়েই যেন অন্যকে খুশি রাখার প্রচেষ্টায় মগ্ন থাকে। তাঁর ব্যতিক্রমী চিন্তা- চেতনার এমন সৃষ্টিশীল কর্মকান্ডে সত্যিই অবাক করার মতো। আসলে কি করে মানুষ এমন কাঁচা মাছ মাংস এবং লতাপাতা খেতে পাবে। এক্ষেত্রে এই ব্যপারটি একে বারেই ভিন্ন বলেই মনে করি। শুধুমাত্র প্রশংসা শুনেই তিনি তুষ্ট, সবসময়ে যেন সকলের কাছ থেকেই প্রশংসা খুঁজে বেড়ান এবং এর স্থায়িত্বও চান। নিজের প্রতি বিশ্বাস বা আস্থা এতোই বেশি যে, তিনি একদিন না একদিন সমগ্র বাংলাদেশের মানুষদেরকে তাঁর এই আনন্দটাকে তুলে ধরতে পারবেন। তিনি আশা পোষণ করেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পাশা পাশি বেসরকারি টেলিভিশন কতৃপক্ষ একদিন এগিয় আসবে। 

সর্বশেষে তিনি বলেছেন, এমন কাঁচা মাছ, মাংস ও লতাপাতা খেয়ে কখনো কোনো সমস্যা হয়নি। বরং- শরীরটা নাকি মজবুত হয়। আর এই উদ্ভট কর্মে মানুষের সাথেই সম্পর্কটা গভীর হয়। তিনি আরও বলেছেনে যে, অন্যের খুশি এবং অখুশির ব্যাপার গুলো বুঝেই যদি তাদের মনের মধ্যে খুব বেশী পরিমাণ আনন্দ দেওয়ার উদ্দেশ্য থাকে তা হলে এই কাজটি করতে ইচ্ছে জাগ্রত হবে। রাগ, জেদ, মনঃকষ্ট কিংবা হতাশা তাঁর নেই। জীবনের এই মাঝামাঝি বয়সে এসেও যেন তিনি সবাইকে আপন মনে করে সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকেন।


লেখকঃ নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com